জনশ্রততি রয়েছে যে,ষোড়শ শতাব্দীতে করতোয়া নদী পথে মাঝে মাঝে মধ্য রাতে মাছ ধরা মাঝির বেশে জলদস্যুরা আসতো। এ অঞ্চলে লুটতরাজ করতো। ফলে সমএসত এই জনপদের নাম হয়ে পড়ে মাঝিড়া। সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে সুবে-বাংলা এ সমস্যার কথা পত্রযোগে আগ্রাতে সম্রাট শাজাহানকে অবহিত করলেন। সম্রাট তাৎক্ষণিকভাবে সেনা ছাউনি সহাপনের জন্য এখানে একটি সেনাদল প্রেরণ করেন। মোঘল সেনাদল এই উপজেলা সদরের ৭০০ গজ উত্তরে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের পূর্ব পাশে ২৫/৩০ ফুট মাটি ভরাট করে সহানটিতে উঁচু ঢিবি তৈরি করে সেনা ছাউনি সহাপন করা হয়। যাতে সেই উঁচু ঢিবি হতে দিগমত বিসতৃত অঞ্চলে জলদস্যুদের যে কোন আনাগোনা বা গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। ধার্মিক সম্রাটের বদান্যতায় এই জনপদের মানুষ সমএাস আর দস্যুতা হতে পরিত্রাণ পায়। মোঘল সম্রাটের নাম অনুসারেই পুরো এলাকার নাম হয় শাজাহানপুর বা সাজাপুর। বৃটিশ আমল থেকে সকল রেকর্ড পত্রে মৌজাটির শাজাপুর নাম বহাল রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ উপজেলার নাম হয় শাজাহানপুর উপজেলা।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS